তুমি ছিলে
শহীদুল ইসলাম
কতদিন ভাববোনা তোমাকে নিয়ে?
না ভাবতে, না ভাবতে
একদিন ভেবে বসবো তুমি ছিলে।
পৌষের শীতে, মাঘ শেষে ফাল্গুনী গানে।
চৈত্রের রোদে বর্ষাজলে।
তুমি ছিলে সজীব নিঃশ্বাসে
একদিন তুমি থাকা না থাকার মাঝে অসম্ভব থাকতে।
কথায়, কবিতায়, দেয়ালে টাঙানো ছবিটায়
আরো থাকতে স্বপ্ন কল্পনা,
স্মৃতির পাতায়।
তোমার দেয়া নাম মনে পড়ে
আর একা একা হেসে উঠি
কতগুলো নাম দিয়ে একটা মানুষকে ডাকতে?
নির্দিষ্ট কোন নাম ছিলো না।
অনির্দিষ্ট নামে ডাকতে।
একদিন
উদ্যানে হাঁটতে হাঁটতে হাতের মুঠোয় বিশ্বাস
নিয়ে হাতে হাত রেখে বলেছিলে,
পাশে থেক।
কিন্তু কোন পাশে?
বাম না ডান।
আমি তো মাঝে বসতে অভ্যস্থ।
মুখোমুখি বসিনা, না বসার পর থেকে।
চোখে চোখ রাখিনা, না রাখার পর থেকে।
লেনদেন ছিল না, বিশ্বাস ছিল।
তুমি থাকবে।
না থাকার ভিড়েও থাকবে।
কিন্তু থাকলে না।
অস্তিত্বের লড়াইয়ে হারলে!
সেদিনের পর আর কোন দিন
বিশ্বাসকে ভগবান বলিনি।
বন্ধ হওয়া নিঃশ্বাসকে মৃত্যু বলিনি।
জীবন্ত মৃত্যুকে বলেছি প্রাণহীন মানুষ।
কতদিন না ভাবার পর একদিন ভাববো তুমি ছিলে?